শব্দ-মুখর স্থবির
Publisher : Mehanati - মেহনতি
“শব্দ-মুখর স্থবির” ( ডাঃ স্থবির দাশগুপ্ত স্মরণ সংখ্যা) ভূমিকা, সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী ও পরিশিষ্ট অংশে তিনটি লেখা ছাড়া সর্বমোট ২২ জন লিখেছেন সত্তর দশকে নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হওয়া থেকে অতি সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় কোভিড ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে প্রবল লড়াই চালানো, জনস্বাস্থ্য ও জনঅধিকার আন্দোলনের এই উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে। লিখেছেন ডাঃ অমিতাভ ব্যানার্জী, আশীষ লাহিড়ী, শুভেন্দু দাশগুপ্ত, ডাঃ অঞ্জন দত্ত, দিলীপ ঘোষ, মিরাতুন নাহার, প্রশান্ত রায়, রতন খাসনবিশ, ডাঃ সিদ্ধার্থ গুপ্ত, রঞ্জিত শূর, ডাঃ স্বপন জানা, ডাঃ ভাস্কর চক্রবর্তী, দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, গৌতম দাস, সুকান্তি ভট্টাচার্য্য, উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপ্না রায় সহ আরো অনেকে। সাথে দুটি ডকুমেন্ট ও কাশিপুর বরানগর গণহত্যা বিষয়ে রচিত ‘রক্তে লেখা ইতিহাস’-এর (স্থবির দাশগুপ্তের লেখা) প্রাককথন।
Publisher | Mehanati - মেহনতি |
Binding | Paperback |
Language | Bengali |
“শব্দ-মুখর স্থবির” ( ডাঃ স্থবির দাশগুপ্ত স্মরণ সংখ্যা) ভূমিকা, সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী ও পরিশিষ্ট অংশে তিনটি লেখা ছাড়া সর্বমোট ২২ জন লিখেছেন সত্তর দশকে নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হওয়া থেকে অতি সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় কোভিড ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে প্রবল লড়াই চালানো, জনস্বাস্থ্য ও জনঅধিকার আন্দোলনের এই উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে। লিখেছেন ডাঃ অমিতাভ ব্যানার্জী, আশীষ লাহিড়ী, শুভেন্দু দাশগুপ্ত, ডাঃ অঞ্জন দত্ত, দিলীপ ঘোষ, মিরাতুন নাহার, প্রশান্ত রায়, রতন খাসনবিশ, ডাঃ সিদ্ধার্থ গুপ্ত, রঞ্জিত শূর, ডাঃ স্বপন জানা, ডাঃ ভাস্কর চক্রবর্তী, দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, গৌতম দাস, সুকান্তি ভট্টাচার্য্য, উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপ্না রায় সহ আরো অনেকে। সাথে দুটি ডকুমেন্ট ও কাশিপুর বরানগর গণহত্যা বিষয়ে রচিত ‘রক্তে লেখা ইতিহাস’-এর (স্থবির দাশগুপ্তের লেখা) প্রাককথন।
“.. নিরঞ্জন-এর বাড়িতে ভাত রান্না হতো কদাচিত। আমরা খেতাম আটাঘোঁটা। উনুনে জল ফুটিয়ে সেই জলে আটা ঘোঁটানো হতো। থালা ভর্তি আটাঘোঁটা নিয়ে খেতে বসতাম। সঙ্গে কোনো তরকারী বা মাছের বাহুল্য নেই। স্থবির মহাউৎসাহে আটাঘোঁটা খেত। আমার মুখে আটাঘোঁটা প্রবেশের পথ পেত না। স্থবির বলতো, একটা লঙ্কা চিবিয়ে নে, দেখিস আটাঘোঁটার কী টেস্ট। অরন্ধন কিংবা আটাঘোঁটায় মন বিদ্রোহী হয়ে উঠতো। সন্দেহ নেই যে এটা ‘পেটিবুর্জোয়া’ ভাইস। কিন্তু এই ভাইস দমনের পথ খুঁজে পেতাম না। স্থানীয় ব্লক অফিসের একজন করণিক ছিলেন আমাদের সমর্থক। রূপমারি স্কুলের একজন শিক্ষকও ছিলেন আমাদের দলের মানুষ। দু’বাড়িতেই ভাত পাওয়া যেতো। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই বাড়িগুলোতে হাজির হতাম ভাতের লোভে। স্থবির আপত্তি করতো না। মাঝে মাঝে নিজেও আমার সঙ্গী হতো। বসিরহাটে মিটিং করতে যেতো স্থবির। ফেরার সময় কিছুটা চাল-আটা নিয়ে আসতো আমার জন্য। নিরঞ্জন-এর বাড়িতে চাল-আটা রেখে সে চলে যেতো অন্য শেল্টার-এ। সেখানে খাবার হলো আটাঘোঁটা, তা-ও একবেলা। বলতাম খানিকটা নিয়ে যা। স্থবির উজ্জ্বল চোখে তাকাতো আমার দিকে; হেসে বলতো “আমার ব্যবস্থা আছে”। ছলনার অভিনয় আমাকে পীড়া দিতো।..”
– রতন খাসনবিশ
(লেখা : অন্য এক স্থবির দাশগুপ্ত, ‘শব্দ-মুখর স্থবির’ বই থেকে)
Book Review
There are no reviews yet.