ইহুদি-মুসলমান দ্বন্দ্ব ও শান্তি সম্ভাবনা – জাহাঙ্গীর হোসেন

বিশ্বের অনেক মানুষই ইসরাইল তথা ইহুদিদের একটা সন্ত্রাসি জাতি ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী হিসেবে মনে করে। কিন্তু প্রকৃত বিচারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর থেকে ইহুদিরা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী কর্তৃক একটা নির্যাতিত জাতি। পারস্যরাজ, গ্রিক শাসক, ব্যাবিলনের রাজা নবুশ্যাড নেয়ার, সিরিয়ার সম্রাট এন্টিওকাস, আসিরিয় রাজা সিনেসিরাব ও টিগলাথ, সালমিনিসার, ২য় সারগণ, কালেদিয়দের অত্যাচার, Babylonian Captivity, সিরিয়ান বাদশা বখতে নসর, রোমান শাসক টিটাস, সম্রাট অহরেশ্বর, রানি ইস্টর, মিসরের শক্তিধর ফারাওগণ, ১৯৪১-পরবর্তী ইউক্রেনীয় বাহিনির ইহুদি হত্যা, হিটলারের হলোকস্ট, কেউ অত্যাচার করতে, নির্যাতন করতে, কৃতদাস বানাতে ছাড়েনি ইহুদিদের। এমনকি ইসলামের নবী মুহাম্মদের মদিনা যাওয়ার পর থেকেই তিনি সেখানে বসবাসরত ইহুদিদের প্রথমে তার নতুন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝিয়ে এবং পরবর্তীতে তাদের মুসলমান বানাতে চেষ্টা করেন। তার সাথে বিভিন্ন যুদ্ধে যেতে নির্দেশ দেন। কিন্তু শান্তিপ্রিয় কিংবা ভীরুতার কারণে ইহুদিরা যুদ্ধে না গেলে মদিনার বনু নাজির, বনু কুরাইজা ও বনু কাইনুকা এ তিনটি গোত্রের সাথে নানাবিধ বিরোধের সৃষ্টি করেন। ইহুদি কবি ও সমালোচকদের গুপ্তঘাতক প্রেরণ করে হত্যা করান নবী মুহাম্মদ। খন্দকের যুদ্ধে না যাওয়ার কারণে মদিনার ইহুদি সম্প্রদায় বনু কুরাইজাকে অবরোধ, প্রায় ৯০০-পুরুষকে একদিনে হত্যা করান। এ ছাড়া খায়বর, ফদখ, তাইমা, বানু লিহায়েন, বানু আল-মুসতালিক, ওয়াদি-আল-কুরা ও নাটার ইহুদি দুর্গে বসবাসরত ইহুদিদের নানা কৌশলে উচ্ছেদ করেন। সবশেষে ৬৩৭ সনে মুসলমানরা জেরুজালেম দখল ও ইহুদিদের ধর্মান্তর, উচ্ছেদ কিংবা দেশান্তরে বাধ্য করে। জীবন বাঁচাতে বহু ইহুদি ইউরোপে পালিয়ে যায়। এসব ঘটনা নিয়েই এ বই। যা পাঠে পাল্টে যাবে আপনার বিশ্বাস ও চিন্তার জগত!